Today: ডিসে ২৩, ২০২৪

মুক্তির যে ঘোষণায় জড়িয়ে আছে চট্টগ্রামের নাম

3 weeks ago

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার পর এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধযুদ্ধ ছিল অবশ্যম্ভাবী। এরপরও আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণার প্রয়োজন ছিল প্রতিরোধের নির্দেশনার জন্য; পাশাপাশি বিশ্বকে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের জানান দিতেও এমন ঘোষণার ভীষণ গুরুত্ব ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণার খসড়া তৈরি করে গিয়েছিলেন বলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষ্য। তবে সেই ঘোষণা পাঠ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা হয় চট্টগ্রাম থেকেই। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে চট্টগ্রাম বরাবারের মতোই অগ্রগামী হয়ে থাকল।

চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে এম এ হান্নানসহ অনেকেই সেই ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। কিন্তু বেতারের অনির্ধারিত সূচির কারণে সেই ঘোষণা অনেকের কাছেই পৌঁছায়নি। ২৬ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত অনেকেই সেই ঘোষণা পাঠ করেন। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সামরিক বাহিনীর একজন মেজর হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলা ও ইংরেজিতে সেই ঘোষণা পাঠ করলে তা মুহূর্তেই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তার মুখ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা আসায় এ দেশের মানুষের মনে শক্তির সঞ্চার হয়।